আরপিও সংশোধন প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় বৈঠকে তোলা হতে পারে আজ

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সুযোগ রাখতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হতে পারে। পাশাপাশি আগামী বছরের (২০১৯) সরকারি ছুটির তালিকার খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে। আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে হলে সংসদের চলতি অধিবেশনে তা পাস করতে হবে। এটা করতে হলে সোমবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সম্মতি নিতে হবে। বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করলেও ৩০ আগস্ট নির্বাচন কমিশন আরপিও সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। পরে আরপিও সংশোধনের প্রস্তাব যাচাইয়ের জন্য তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। সেখান থেকে ভেটিং শেষে তা মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপির জন্য সরকারি হুকুমে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইভিএম ব্যবহার করতে চাচ্ছে। দেশে দেশে প্রত্যাখ্যাত ও বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহার করে ইসি পাতানো নির্বাচন করতে চাচ্ছে। একই দিন খুলনায় ইভিএম মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা বলেছেন, এই যন্ত্রের মাধ্যমে কোনোভাবে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। যারা এ যন্ত্রের বিরোধিতা করছেন, তারা ‘না জেনে’ তা করছেন।

২০১৯ সালে সরকারি ছুটি ২২ দিন : বাংলা একাডেমি, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদফতরের মতামত নিয়ে আগামী বছরের সরকারি ছুটির খসড়া প্রণয়ন করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে মোট ২২ দিন সরকারি ছুটির প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে ছুটি আট দিন। তবে সাধারণ ছুটির ১৪ দিনের মধ্যে তিন দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবারে। এর বাইরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর জন্য ঐচ্ছিক ছুটিও নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের বর্ষপঞ্জিতেও ঐচ্ছিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ছুটির তালিকার খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে।

সাধারণ ছুটি : ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ১ মে মে দিবস, ১৮ মে বুদ্ধপূর্ণিমা, ৩১ মে জুমাতুল বিদা, ৫ জুন ঈদুল ফিতর, ১২ আগস্ট ঈদুল আজহা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৩ আগস্ট শুভ জন্মাষ্টমী, ৮ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১০ নভেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।

নির্বাহী আদেশে ছুটি : ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ২১ এপ্রিল শবেবরাত, ২ জুন শবেকদর, ৪ ও ৬ জুন ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দিন, ১১ ও ১৩ আগস্ট ঈদুল আজহার আগে ও পরের দিন এবং ১০ সেপ্টেম্বর আশুরা।

ঐচ্ছিক ছুটি (মুসলিম পর্ব) : ৪ এপ্রিল শবে মেরাজ, ৭ জুন ঈদুল ফিতর (ঈদের ছুটির পরের দ্বিতীয় দিন), ১৪ আগস্ট ঈদুল আজহা (ঈদের ছুটির পরের দ্বিতীয় দিন), ২৩ অক্টোবর আখেরি চাহার শম্বা এবং ৯ ডিসেম্বর ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম।

ঐচ্ছিক ছুটি (হিন্দু পর্ব) : ১০ ফেব্র“য়ারি সরস্বতী পূজা, ৪ মার্চ শিবরাত্রি ব্রত, ২১ মার্চ দোলযাত্রা, ৩ এপ্রিল হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব দিবস, ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়া, ৭ অক্টোবর দুর্গাপূজা (নবমী), ১৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা এবং ২৭ অক্টোবর শ্যামাপূজা।

ঐচ্ছিক ছুটি (খ্রিস্টান পর্ব) : ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, ৬ মার্চ ভস্ম বুধবার, ১৮ এপ্রিল পুণ্য বৃহস্পতিবার, ১৯ এপ্রিল পুণ্য শুক্রবার, ২০ এপ্রিল পুণ্য শনিবার, ২১ এপ্রিল ইস্টার সানডে এবং ২৪ ও ২৬ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (বড়দিনের আগে ও পরের দিন)।

ঐচ্ছিক ছুটি (বৌদ্ধ পর্ব) : ১৯ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা, ১৩ এপ্রিল চৈত্রসংক্রান্তি, ১৬ জুলাই আষাঢ়ী পূর্ণিমা, ১৩ সেপ্টেম্বর মধু পূর্ণিমা এবং ১৩ অক্টোবর প্রবারণা পূর্ণিমা।

ঐচ্ছিক ছুটি (পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা ও এর বাইরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত কর্মচারীদের জন্য) : ১২ ও ১৫ এপ্রিল বৈসাবি ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্য ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর অনুরূপ সামাজিক উৎসব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর